নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন স্থানে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন; আটক করা হয়েছে অনেককে।
শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় লাঠিসোঁটা হাতে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান তারা।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপিকর্মীরা। কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
নয়াবাজারে সংঘর্ষের সময় আহত হন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এসময় তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এদিকে একই স্পটে কর্মসূচি পালনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন।
এদিকে ধোলাইখাল এলাকায় সংঘর্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার ছেলে অমিতাভ রায়। তিনি বলেন, আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছে তা জানি না আমরা।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গুলিবিদ্ধ। এই অবস্থায় তিনি যখন রাস্তায় পড়ে যান তখন পুলিশ রাস্তায় ফেলে তাকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক আঘাত করে।
এদিকে পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গাবতলীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেখান থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর গাবতলী থেকে তাকে পুলিশের জিপে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে আমানকে আটক করতে গেলে দলের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। এক পর্যায়ে নারী কর্মীরা পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এর আগে আমান উল্লাহ আমান সংবাদিকদের বলেন, যত নির্যাতন করুক, বাধা দিক, গ্রেপ্তার করুক, আমাদের আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা বলেন, গ্রেপ্তার না আটক সেটা পরে জানাব। এখানে কাউকে সভা বা অবস্থান করতে দেব না।
Leave a Reply