এসএম শামীম : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় চোরাচালানে জড়িত এবং অনিয়মিত ছাত্রকে উপজেলার ৫নং লেঙ্গুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করায় শুরু হয়েছে সমালোচনা।
গত শুক্রবার (২ জুন) কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা ও যুগ্ম আহ্বায়ক (১) মো. আউয়াল মিয়া স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে মাজহারুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও শাহ আলম মোল্লাকে যুগ্ম আহ্বায়ক (১) করে লেঙ্গুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শাহ আলম মোল্লা সীমান্তে চোরাচালানের মদদদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও নিয়মিত ছাত্র না হওয়া সত্বেও সংগঠনের শীর্ষ পদে তার নাম আসায় অন্যান্য ছাত্রনেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৮ মে কালের কণ্ঠ এবং ২০ মে প্রথম আলোতে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনে জানা যায়, পুলিশের কথা বলে ভারত থেকে অবৈধ উপায়ে আসা চিনির বস্তা প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা নেন লেংগুরা ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের মোতালেব মোল্লার ছেলে বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম মোল্লা।
অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলম মোল্লা জানান, তার বিরুদ্ধে চোরাচালানে সম্পৃক্ততার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। এছাড়া ছাত্রত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলমাকান্দা সরকারি কলেজ শাখা হতে এবছর এইচএসসি পরিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা জানান, শাহ আলম মোল্লা চোরাচালানে জরিত থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি তার বিরুদ্ধে আনিত আভিযোগ প্রণিত হয় তবে, আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (১) আওয়াল মিয়া জানান, কমিটি দেয়ার পূর্বে চোরাচালানের কথা আমরা জানতাম না। আর শাহ আলম মোল্লা উন্মুক্ততে পড়ালেখা করছে।
উল্লেখিত বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওন জানান, চোরাচালানে জরিত ও অছাত্রদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগে ঠাই নেই। যেদিন ওই কমিটি ঘোষণা হয় সেদিন আমার মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাদের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাইনি। আমি উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলবো। যদি প্রমাণ হয় শাহ আলম মোল্লা চোরাকারবারে জরিত তবে, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply